স্বদেশ ডেস্ক:
১৪০টি ইহুদি সংগঠনের শত শত কর্মী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং কংগ্রেসের কাছে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন। যে চিঠিতে তারা হামাসের সাথে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার জন্য ইসরাইলকে চাপ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
একই চিঠিতে ওই ইহুদি সংগঠনগুলো দাবি করে যে- ইসরাইলের এই ধরনের পদক্ষেপের জন্য মার্কিন ইহুদিদের ব্যাপক সমর্থন রয়েছে।
শনিবার ইসরাইলভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা টাইমস অফ ইসরাইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলার পর ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে আমেরিকান ইহুদিদের মধ্যে পার্থক্য আরো প্রকাশ্যে এলো।
এত আরো বলা হয়, ইসরাইলের পক্ষে বাইডেনের সমর্থনে প্রাথমিকভাবে সর্বসম্মত কণ্ঠস্বর উপস্থাপন করার পরে বেশ কয়েকজন ইহুদি কংগ্রেস সদস্য এখন যুদ্ধবিরতিকে সমর্থন করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, আমরা এই মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি, সমস্ত বন্দীর মুক্তি এবং দীর্ঘমেয়াদী রাজনৈতিক সমাধানে ইসরাইলি ও ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও সম্মিলিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
চিঠিটি ন্যাশনাল মলে একটি গণ-ইসরাইল-পন্থী সমাবেশের কয়েক সপ্তাহ পরে স্বাক্ষর করা হলো। ইসরাইল-পন্থী ওই সমাবেশে বক্তারা হামাসকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত এবং ৭ অক্টোবর অপহরণ করা সমস্ত বন্দীকে দেশে ফিরে না আসা পর্যন্ত ইসরাইলের সামরিক অভিযান বন্ধ করতে অস্বীকৃতিকে উৎসাহের সাথে সমর্থন করেছিলেন।
এদিকে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ১৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার মধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি শিশু এবং নারী। আহত হয়েছে ২৮ হাজার ২০০ জনেরও বেশি।
গত মাস থেকে অবরুদ্ধ ছিটমহলে ইসরাইলের অবিরত বিমান ও স্থল হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ এবং গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে।
ইসরাইলি সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ইতোমধ্যে ১ হাজার ২০০ ইসরাইলি নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান শুরু করেছে বলে ঘোষণা করেছে। এর প্রতিরোধে পাল্টা হামলা শুরু করেছে ইসরাইল।
এক বিবৃতিতে হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ বলেন, শনিবার সকালে ইসরাইলে পাঁচ হাজার রকেট বর্ষণের মাধ্যমে ‘অপারেশন আল-আকসা স্ট্রম’ শুরু হয়েছে। ইসরাইল গাজা থেকে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করেছে।
সূত্র : টাইমস অব ইসরাইল